বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
বরিশাল রিপোর্টঃ বরিশালে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনের নগরীর চকবাজার কাপুর ব্যবসায়ীরা ও গীর্জামহল্লা মোবাইল ব্যবসায়ীরা লকডাউন প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে।
অপরদিকে নামী বিপনিবিতানগুলো বন্ধ থাকলেও নগরীর চক বাজারের ব্যবসায়ীরা কেউ বা চুপিসারে দোকান খুলে বেচাকিনা করছে।
দুপুর পৌঁনে বারোটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত হলে চকবাজারের কতিপয় দোকানী জড়ো হয়ে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে উল্টো ক্ষোভ প্রকাশ করে।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে নগরীর গীর্জা মহলা ব্যবসায়ী মালিক সমিতি ও মোবাইল মালিক সমিতির সদস্যরা দোকানপাট খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এসময় প্রায় একঘন্টাব্যাপী রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ তারা । পরে মিছিল নিয়ে সদররোড অতিক্রমকালে পুলিশ এসে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে আন্দোলন থেকে ঘরে ফেরার নির্দেশ দেন। এরপর তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
বাংলাদেশ মোবাইল এ্যাসোশিয়েশন মালিক’ সংগঠনের বরিশাল বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক শহিদ বলেন, আমরা সরকারী নিয়ম মানি। তবে আমাদের পেটের কথা চিন্তা করে একটু সুযোগ চাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন গত বছর লকডাউনে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সামনে রমজান মাস। ব্যবসা করার মৌসুম।
এসময় দোকানপাট বন্ধ থাকলে তারা বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করার দাবিও জানান তারা।
প্রশাসন জানিয়েছেন সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখার কোনো সুযোগ নেই।
এছাড়া এখানে দুরত্বে ছিল না কোন স্বাস্থবিধির নিয়ম কানুন। যে যার মত করে মাছ বেচা-বিক্রি করছেন। সেখানে একজনের উপরে তিন চারজন হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা যায়।
দুপুরের জেলা প্রশাসকের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা বলেন, সরকার নির্দেশিত লকডউন যথার্থভাবে মানতে তারা মোবাইল কোর্ট করছেন। যেখানে এর ব্যতয় ঘটছে সেখানেই তারা জরিমানা করছেন।
এদিকে শ্রমজীবী মানুষেরা বলেন, করোনায় এমনিতেই তাদের আয় কমেগেছে, তার উপরে লকডাউনে তাদের পুরোটাই বেকার হয়ে বসে থাকতে হচ্ছে।
অন্যদিকে স্বাস্থ অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য শহরে মাইকিং করা হলেও নিত্য আয়ের মানুষের পায়ের গতি আটকে রাখতে পারছে প্রশাসন।